সরকারের অনুমোদন ছাড়া আন্তজার্তিক কল টার্মিনেশন রেট প্রতি মিনিট দেড় সেন্ট থেকে দুই সেন্ট করায় গত চার মাসে সরকারের অন্তত দুইশ আট কোটি টাকা লোকসান হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসির হিসেবে গত বছরের আগস্ট থেকে বছরের শেষ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরগুলোর সিন্ডিকেট ১১২ কোটি আট লাখ মিনিট কল দেশে এনেছে। দুই সেন্ট হিসেবে এ কলের মূল্য দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩০২ কোটি টাকা।
এ আয় থেকে রাজস্ব ভাগাবাগির অংশ হিসেবে বিটিআরসি পেয়েছে ৬২৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাড়তি কল রেটরেটর কারণে আইজিডব্লিউ অপারেটরগুলো বাড়তি ৪৩৪ কোটি টাকা আয় করেছে। কিন্তু সেখান থেকে সরকারকে কোনো কিছুই দেয়নি তারা।
গত বছর ২৪ আগস্ট থেকে সরকারের অনুমোদনের বাইরে আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরদের সিন্ডিকেট বিদেশ থেকে দেশে কল ঢোকার রেট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে দুই সেন্ট করে।
নিয়ম অনুসারে বিটিআরসি মোট আয়ের ৪০ শতাংশ সরাসরি আইজিডব্লিউ অপারেটরগুলোর কাছ থেকে পায়। একইভাবে আন্তসংযোগ এক্সচেঞ্জ ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোও এ টাকার ভাগ পায়।
আন্তসংযোগ এক্সচেঞ্জ ও মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছ থেকে আবার তাদের আয়ের ভাগ পায় বিটিআরসি। ফলে বিদেশ থেকে আসা কল থেকে যে আয় হয় তার ৪৮ শতাংশ চলে আসে কমিশনের কাছে।
তবে ৪৩৪ কোটি টাকার বাড়তি আয় থেকে বিটিআরসি কোনো হিস্যা পায়নি। ফলে এখানে সরকারের লোকসান ২০৮ কোটি টাকা পেরিয়ে গেছে, এমনটাই বলছেন কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা।
মাঝখানে একবার সরকার আন্তর্জাতিক কল টার্মিনেশন রেট দেড় সেন্ট থেকে বাড়িয়ে ১ দশমিক ৭৫ সেন্ট করার চেষ্টা করলেও সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি প্রভাবশালী ওই আইজিডব্লিউগুলোর জন্য। সেটি হলে সরকারের লোকসান খানিকটা হলেও কমত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
0 comments:
Post a Comment