বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সবকিছুই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছে। বিগত ৪ থেকে ৫ বছর আগেও আমাদের ভাবনার বাইরে ছিল স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইন নির্ভর হবে, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা, বিভিন্ন সার্ভিসের বিল পরিশোধ আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমের মাধ্যমে খুব সহজেই করতে পারবো। আজকের এই আধুনিক বিশ্বে প্রতিনিয়ত তথ্যপ্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। সেই সাথে আমাদের চাহিদা এবং প্রয়োজনীয় সেবাগুলোও ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়ছে। ইন্টারনেট এখন শুধু বিনোদন কিংবা সুম্য কাটানোর মাধ্যম নয়। এই ইন্টারনেটকে পুঁজি করে অনেকেই আজ সারা বিশ্বব্যাপি নিজেদের সার্ভিস আর ব্যবসাকে ছড়িয়ে দিতে পেরেছে।
বর্তমান বিশ্বে মুক্ত পেশা বা আউটসোর্সিংয়ের যে বিশাল বাজার সৃষ্টি হয়েছে তাও এই ইন্টারনেটের কল্যানেই। বহু বেকার তরুন তরুনী হতাশাকে পদদলিত করে নিজেদের ফ্রিল্যান্সিং এ দক্ষ করে গড়ে তুলে আজ হাজার হাজার ডলার আয় করছে। অনলাইনের এই যুগে আপনার একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট এখন আর কোন সৌখিনতা নয় বরং আপনার ব্যবসা, সার্ভিস কিংবা আপনার আয়ের একমাত্র মাধ্যমন হতে পারে।
আসুন জেনে নিই কেন আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকা সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে একান্ত জরুরী।
১। অনলাইনে আয়ের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম হিসেবেঃ বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে ফ্রিল্যান্সিং একটি সম্ভাবনাময় এবং দারুণ জনপ্রিয় আয়ের মাধ্যম। আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হোন তবে নিজের একটি ব্যক্তিগত পোর্টফোলিও ওয়েবসাইট আপনার কাজের দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা দেয়ার সুন্দর একটি উপায়। আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে সে কাজগুলোড় ডেমো আপনি পোর্টফোলিও সাইটে আপলোড করে নিজের কাজ সম্পর্কে বায়ারকে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে পারেন। মার্কেটপ্লেসে আপনার জনপ্রিয়তা এবং নতুন কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা বেশ সহায়ক।
এছাড়া একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি কতভাবে আয় করতে পারবেন তা হয়তো আপনার কল্পনারও বাইরে। আপনি যদি লেখালেখি পছন্দ করেন তবে ব্লগিং, CPA Marketing, Affiliate Marketing, Review Writing করে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
আপনি যদি একটি ডাউনলোড সাইট তৈরি করেন তবে তা থেকে ফাইল শেয়ার করে, প্রতি ডাউনলোডে, এডসেন্স বা অন্য কোন এড ব্যবহার করে, শর্ট লিঙ্ক ব্যবহার করে ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ অর্থ আয় করা সম্ভব।
২। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ আপনার যদি একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকে এবং আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সকলকে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করতে আপনি একটি ব্যবসায়িক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে ইকমার্স একটি জনপ্রিয় অনলাইন ব্যবসায়ের মাধ্যম। তাই আপনার ব্যবসাকে আরো অধিক সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছানোর জন্যে আপনার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একটি ওয়েবসাইট থাকা বাঞ্ছনীয়।
৩। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেঃ আপনার সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি এবং সেবার ধরণগুলোর সুস্পষ্ট ধারণা দিতে একটি ওয়েবসাইট আপনাকে কাঙ্খিত ফলাফল এনে দিতে পারে। আপনার চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সমিতি, সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে একটি ওয়েবসাইট আপনার প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি সকলের নিকট তুলে ধরতে জোরালো ভূমিকা রাখে।
ওয়েবসাইট তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম অথবা আপনার কাজের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়া উচিত।
হোস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিদেশি প্রোভাইডারের চেয়ে দেশি প্রোভাইডার থেকে হোস্টিং নেয়া আপনার জন্য বেশ সুবিধাজনক। ওয়েবসাইট সংক্রান্ত যেকোন সমস্যায় তাৎক্ষণিক সেবা পেতে এবং বিলিং সংক্রান্ত ঝামেলা না পোহাতে চাইলে দেশি প্রোভাইডারদের কাছ থেকে হোস্টিং নেয়া উচিত।
0 comments:
Post a Comment